চট্টগ্রাম বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক ও চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আরও ২ জনের সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয়েছে।
আজ সোমবার (১৯ সেপ্টেম্বর) দুপুরে চতুর্থ অতিরিক্ত চট্টগ্রাম মহানগর দায়রা জজ শরীফুল আলম ভূঁঞার আদালতে এই সাক্ষ্যগ্রহণ হয়। পরে আদালত ২৫ অক্টোবর পরবর্তী দিন ধার্য করেন।
চট্টগ্রাম মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর (পিপি) মো. ফখরুদ্দিন চৌধুরী বলেন, বন্দরে কোকেনের চালান জব্দের ঘটনায় মাদক ও চোরাচালান আইনে দায়ের হওয়া মামলায় আরও ২ জন সাক্ষ্য দিয়েছেন। একজন হলেন- তৎকালীন চট্টগ্রাম কাস্টমস হাউজের সহকারী কমিশনার ও বর্তমানে জাতীয় রাজস্ব বোর্ডের উপ-কমিশনার মুকিতুল হাসান।
তিনি দুইটি জব্দ তালিকার সাক্ষী। মুকিতুল হাসানসহ অন্যান্য সরকারি সংস্থার উপস্থিতিতে কনটেইনারে রক্ষিত ড্রামের ভিতর কোকেন মিশ্রিত সূর্যমুখী তেল রাসায়নিক পরীক্ষার জন্য আলামত সংগ্রহ করা হয়।
তিনি আরও বলেন, অন্য সাক্ষী হলেন তৎকালীন চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের টার্মিনাল অফিসার ও বর্তমান চট্টগ্রাম বন্দর কর্তৃপক্ষের সহকারী টার্মিনাল ম্যানেজার রাজীব চৌধুরী। তিনি বন্দরে জাহাজ আসা এবং জাহাজ থেকে এই কনটেইনারসহ অন্যান্য কনটেইনার চট্টগ্রাম বন্দরে নামানোর বিষয়ে সাক্ষ্য প্রদান করেন।
মাদক মামলায় রাষ্ট্রপক্ষের সর্বমোট ২৮ জন এবং চোরাচালান মামলায় ৭ জন সাক্ষী সাক্ষ্য প্রদান করেন। ২৬ অক্টোবর মামলার পরবর্তী সাক্ষ্যগ্রহণের সময় নির্ধারণ করা হয়েছে।
সাক্ষ্য গ্রহণে মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটরকে সহযোগিতা করেন অতিরিক্ত পিপি আবু জাফর, অ্যাডভোকেট সাব্বির আহমেদ শাকিল ও অ্যাডভেকেট মো. সাহাব উদ্দীন।
মামলায় অভিযুক্তরা হলেন- আমদানিকারক প্রতিষ্ঠান চট্টগ্রামের খানজাহান আলী লিমিটেডের চেয়ারম্যান নুর মোহাম্মদ ও তার ভাই মোস্তাক আহম্মদ, কসকো-বাংলাদেশ শিপিং লাইনসের ব্যবস্থাপক এ কে এম আজাদ, সিকিউরিটিজ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা মেহেদী আলম, সিঅ্যান্ডএফ প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তা সাইফুল ইসলাম, আবাসন ব্যবসায়ী মোস্তফা কামাল, প্রাইম হ্যাচারির ব্যবস্থাপক গোলাম মোস্তফা সোহেল, পোশাক রফতানিকারক প্রতিষ্ঠান ম-ল গ্রুপের বাণিজ্যিক নির্বাহী আতিকুর রহমান, লন্ডন প্রবাসী চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জের ফজলুর রহমান ও মৌলভীবাজারের বকুল মিয়া।
২০১৫ সালের ৭ জুন চট্টগ্রাম বন্দরে একটি কনটেইনার জব্দের পর সিলগালা করে কর্তৃপক্ষ। পরে আদালতের নির্দেশে কন্টেইনার খুলে ১০৭টি ড্রাম থেকে নমুনা সংগ্রহ করা হয়। প্রথমে বন্দরের পরীক্ষায় এসব নমুনায় কোকেনের উপস্থিতি না মেলায় ঢাকার বাংলাদেশ বিজ্ঞান ও শিল্প গবেষণা পরিষদ এবং বাংলাদেশ ড্রাগ টেস্টিং ল্যাবরেটরিতে তরলের নমুনা পরীক্ষা করা হয়। দুই পরীক্ষাগারেই নমুনায় তরল কোকেনের অস্তিত্ব ধরা পড়ে। এ ঘটনায় একই বছরের ২৮ জুন চট্টগ্রামের বন্দর থানায় মাদক নিয়ন্ত্রণ ও চোরাচালান আইনে দুটি মামলা করে পুলিশ।
Leave a Reply